শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:লেখাটা দীর্ঘ হলেও ধৈর্য সহকারে পাঠ করার বিনয়ী আবেদন রইলো। কারণ এটা আমাদের পেশায় বিদ্যমান পরিস্থিতি কেন্দ্রিক, এখন থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ারও বিষয়। পাশাপাশি আমাকে জ্ঞ্যান বিতরণকারী না ভেবে নিজের অভিমত নিছক শেয়ারকারী হিসেবে ভাবলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত সকল নেতিবাচক লেখা সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া বন্ধ হোক। এসব লেখা প্রয়োজনে মিডিয়া সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে লিখুন। নোংরা কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে নিজে বাঁচুন, মিডিয়াকেও বাঁচান।
ভুয়া, অপেশাদারদের নানা অপসাংবাদিকতা সহ বিদঘুটে সব কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের ব্যাপারে সর্বত্র বাজে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও যদি সাংবাদিক পরিচয়ের ব্যক্তিবর্গ কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত থাকেন তখন বাকি পেশাজীবীরা মুখ টিপে হাসে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতার চোখে দেখে। এতে সামাজিকভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়।
দেখুন তো দেশে আরো আরো পেশার মানুষজন আছে, তাদের মধ্যেও কি যথেষ্ট খারাপ কেউ নেই? কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কবে আমরা এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে আরেক ডাক্তারকে কিছু লিখতে দেখি? এক প্রকৌশলীর অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ খাওয়ার বিষয় নিয়ে কখনো কোনো প্রকৌশলী কিছু কি লিখেন? জনপ্রতিনিধিরাও কখনো আরেক জনপ্রতিনিধিকে হেয় করে সহসা কোনো বাক্য প্রচার করেন না। শিক্ষকরা অন্য শিক্ষককে আরো সম্মানিত করে তুলে ধরেন। এটা হচ্ছে যার যার পেশার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সম্মানবোধের নিদর্শন। নিজেদের ঘর বা পরিবারের জঘন্য কিছু কেবলমাত্র আহাম্মকরাই পাবলিকলী প্রচার করে থাকে।
এমন ভুল আমরা অনেকেই কমবেশি করে চলছি। আসুন, পেশার মর্যাদা রক্ষায় সাংবাদিকতা অন্দরের খারাপ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাও প্রচার থেকে বিরত থাকি। সেসব প্রচারণা দেখে অন্য পেশাজীবীরা এগিয়ে এসে আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতি কিন্তু সমাধান করে দেন না, উল্টো মন্তব্য ঘরে সাংবাদিকদের জাত তুলে যাচ্ছে তাই গালাগাল দিয়ে থাকেন। মর্যাদার পেশাটিকে তুচ্ছতায় পরিচিত করেন। সুতরাং বিদ্যমান ভুল ত্রুটির অবসানে কিছু যদি লিখতেই হয় তা শুধু পেশা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপ বা ইনবক্সে তুলে ধরি। তাহলেই তো অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের জনমত গড়ে উঠবে।
(বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মন্তব্য, অভিমত প্রকাশ করা হলে সচেনতা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি)